🕮 “আমার দাসত্ব (এবাদত) করা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে আমি মানুষ ও জ্বীন সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করিনি” (কুরআন: ৫১ জারিয়াত:৫৬)। ‘মানুষকে তার সৃষ্টিকর্তা কোন্ উদ্দেশ্য সৃষ্টি করেছেন’-এ প্রশ্নের জবাবের জ্ঞানটি হচ্ছে আখেরাতের মুক্তির জন্য অন্যতম প্রধান জ্ঞান। যেহেতু আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার কাছেই ফিরে যেতে হবে, সেহেতু যে কোনো মূল্যেই আমাদের জন্মের উদ্দেশ্য অর্জনের খাঁটি জবাবটি, মুক্তির পথটি জানতে হবে। সারাটা জীবন সে জবাবের উপর ভিত্তি করে, একমাত্র সে জবাবের দেখান পথেই জীবন চালাতে হবে, ভিন্ন কোনো পথে নয়-এমনকি খানিকটা হলেও নয়। আর সে জবাবটি হচ্ছে: ‘আমরা কোনো বস্তু, ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টির মস্তিস্ক প্রসূত পথে নয় বরং শুধুমাত্র ইসলামের দেখানো পথেই জীবন চালাব, চলবো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে. প্রতিটি পরতে পরতে। আর তেমনটা চলতে পারলেই আমাদের জন্ম তার উদ্দেশ্য পূরণে সক্ষম হবে এবং পরকালে নাযাত লাভ করে জান্নাত পাওয়া যাবে। আর জান্নাত প্রাপ্তিটাই হচ্ছে মানুষের আসল সফলতা, যার বাইরে আর কোনো সফলতা নেই। পৃথিবীতে যে সব অর্জনকে আমরা সফলতা বলি তা সফলতা হয় কি করে? সফলতাতো তাই যা কখনই আপনাকে ছেড়ে যাবে না। জান্নাত লাভ হচ্ছে প্রকৃত সফলতা যা কখনো আপনাকে ছেড়ে যাবে না, যা কোনো ভাবেই হাতছাড়া হবে না। সে জান্নাতী সফলতায় দুনিয়ার মতো থাকবে না কোনো একঘেয়েমি, আসবে না কোনো কিছুতে অরুচি, সেখানকার ভোগের তালিকা হবে সীমাহীন, সেখানে মানুষের বয়স বাড়বে না বরং সেখানে তারা যুবক/যুবতি বয়সে সদা বিরাজমান থাকবে। মানুষের জন্য সেটাই হচ্ছে আসল সফলতা অর্জন-যা অর্জিত হবে যদি সে তার জন্মের উদ্দেশ্য পূরণে সক্ষম হয়। আর সে উদ্দেশ্য সাধন করতে পারলে বিনিময় হচ্ছে জান্নাত-যা মানবের একমাত্র সফলতা। এবং এ সফলতা দুনিয়ার কোথাও এবং দুনিয়ার কোনো কাজ বা অর্জনের মধ্যে আল্লাহ (সুব) রাখেননি। এই যে সফলতার খোঁজ তা আপনি জানেন, যে জানাকে এক্বিনের পর্যায়ে রাখতে সচেষ্ট আছেন বলেই আপনি হয়েছেন প্রকৃত ও স্থায়ী ধনবান। এই সফলতার পথ কি আল্লাহর সৃষ্ট অন্যান্য মানবের জানার দরকার নেই। অবশ্যই দরকার আছে। আর আল্লাহ (সুব) যেহেতু প্র্রতিটি মানুষের কাছে এক একজন করে নবী পাঠান না সেহেতু যে উম্মতের কাছে আল্লাহ যে নবী পাঠান সে নবীর মৃত্যুর পর তার উম্মতের প্রতিটি সদস্যের উপর অটোমেটিক দায়িত্ব হচ্ছে ‘এমএমপি ও দাওয়াতি কর্মকান্ডের পরবর্তী কি ভাবে সম্পন্ন করে জন্মের উদ্দেশ্য পূরণ করা যায় তা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া’। আপনি কি সে জন্য প্রস্তুত? আর যদি ইতিমধ্যে ‘শুরু না করে করে থাকেন’ তবে এখনই শুরু করুন, আর শুরু করে থাকলে তাকে আরো বেগবান করুন, শানিত করুন।
